নিজস্ব প্রতিবেদক:

মহেশখালী সমিতি ঢাকা ও মহেশখালী পেশাজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের প্রতিনিধিগণ, প্রশাসন ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মহেশখালীবাসী, প্রেসক্লাব সভাপতি এবং ছাত্র-জনতার প্রতিনিধিদের সাথে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হেদায়েত উল্লাহ’র ঈদ-পরবর্তী সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টায় মহেশখালী উপজেলা প্রশাসনের হলরুমে অনুষ্ঠিত এ সভায় জেটিঘাট ব্যবস্থাপনা, শিক্ষার মানোন্নয়নসহ মহেশখালীর বিদ্যমান কিছু গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা নিয়ে গঠনমূলক আলোচনা করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন উপ-সচিব আবুল হাশেম ও

সভায় দীর্ঘমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি এবং জরুরি ভিত্তিতে করণীয় কিছু প্রস্তাবনা উপস্থাপন করা হয়, যার অধিকাংশ বাস্তবায়নের ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। আলোচনার পর ৯টি গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম দ্রুত বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

গৃহীত কার্যক্রমসমূহ:

১. স্পিডবোট ও টমটম ব্যবস্থাপনা: স্পিডবোট চালক, জেটিঘাট ব্যবস্থাপনা কর্মী এবং পর্যটন স্পটগামী টমটম চালকদের নির্দিষ্ট পোশাক পরিধান বাধ্যতামূলক করা হবে। এ উদ্যোগে মহেশখালী সমিতি, ঢাকা ও মহেশখালী পেশাজীবী সমবায় সমিতি অর্থায়ন করবে।

২. যাত্রী পরিবহন ব্যবস্থাপনা: টোকেন পদ্ধতি চালু করে ‘আগে আসলে আগে সার্ভিস’ ভিত্তিতে যাত্রী পারাপার নিশ্চিত করা হবে। সকালে স্পিডবোট চালকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হবে।

৩. নিরাপত্তা ও অবকাঠামো উন্নয়ন: জেটিঘাট এলাকায় সিসিটিভি স্থাপন ও টেকসই বসার ব্যবস্থা করা হবে। বিদ্যমান দোকানগুলো উপরের দিকে সরিয়ে নেওয়া হবে, যার ব্যয় দুই সমিতি বহন করবে।

৪. গণপরিবহন সুবিধা: টেকসই ছাউনিযুক্ত বোট বা সী-ট্রাক চালুর বিষয়ে প্রশাসন সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করবে। প্রয়োজনে দুই সমিতি বিনিয়োগ করবে এবং বিদ্যমান সমিতিগুলোর সাথে উপজেলা প্রশাসন সমন্বয় করবে।

৫. ফেরি সার্ভিস চালুর উদ্যোগ: দুই সমিতির নেতৃবৃন্দ এবং অন্যান্য প্রতিনিধিদের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হবে। উপজেলা প্রশাসন সার্বিক সহযোগিতা করবে। পাশাপাশি মহেশখালী সেতুর দাবি উচ্চপর্যায়ে উপস্থাপন করা হবে।

৬. সমন্বয় সভার আয়োজন: স্পিডবোট মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দের সাথে উন্নত ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে একটি সমন্বয় সভার আয়োজন করা হবে, যেখানে নির্বাহী কর্মকর্তা উপস্থিত থাকবেন।

৭. পর্যটন সেবা মানোন্নয়ন: টমটম চালকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পর্যটকদের সাথে সুন্দর আচরণ ও উন্নত সেবার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।

৮. জনসেবামূলক অবকাঠামো উন্নয়ন: জেটিঘাটে পাবলিক টয়লেট স্থাপন ও যাত্রীদের নৌকায় ওঠানামার সুবিধার্থে জেটির কাঠের অংশ সম্প্রসারণ করা হবে।

৯. শিক্ষার মানোন্নয়ন: বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার মান উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা দূর করা হবে এবং ম্যানেজমেন্ট কমিটি ও শিক্ষকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব নিরসনের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ পদক্ষেপ নেবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।